Showing posts with label গল্প. Show all posts
Showing posts with label গল্প. Show all posts

Sunday, September 13, 2015

নীল পরী নিলাঞ্জনা



নীল পরী নিলাঞ্জনা

 
খুব সাধারন না মেয়েটা আবার খুব চালাক ও না... কিছুই বুঝতো না ফেসবুকের। নতুন একাউন্ট খুলে প্রথম ফেসবুক ইউজ করছে বলে কথা। পরিচিত-অপরিচিত সব ফেরেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করে। মেয়েটার এক ফেরেন্ডেভ আইডিতে সব কিছুতেই এক ছেলে কম্যান্ডস করে। এমন কি সেই ছেলেটি ছিল মেয়েটির ফেরেন্ডের নিয়মিত আড্ডা-ফান এর উপকরণ। নিয়মিত সেই ছেলেটির কথা শুনতে শুনতে মেয়েটা খুব বিরক্ত হতো এবং এক প্রকার জেদ জন্মালো এটা ভেবে কি এমন ছেলে যাকে নিয়ে নিয়মিত আড্ডা দিতে হবে। তারপর একদিন মেয়েটা তার ঐই ফেরেন্ডের একটা স্ট্যাটাস এ এবার ছেলেটার কম্যান্ডস দেখলো। কম্যান্ডসটিতে এমন কিছু ছিলো যে ছেলেটি মেয়েটার ফেরেন্ডকে পছন্দ করে আর ভালোবাসে, এমন টাই মনে হচ্ছিলো এবং তাই মনেও করেছে। এটা দেখে মেয়েটা জেলাস ফিল করে। কিন্তু কেন এই অনুভুতি হলো তা সে নিজেও জানে না।

এরপর হঠা একদিন মেয়েটাকে ফেরেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। প্রথমে মেয়েটা রিকোয়েস্ট টি এক্সেপ্ট করতে চায়নি রাগে কিন্তু পরে কি ভেবে যেন এক্সেপ্ট করলো। স্বাভাবিক নিয়মেই প্রথমে যা হয় চ্যাটিং-এ তাই হলো। হ্যায়-হ্যালো, কেমন আছো ইত্যাদি ইত্যাদি......।
তারপর একদিন ছেলেটি মেয়েটার ফেরেন্ডের কথা জিজ্ঞাস করে যে সে কেন ফেসবুকে আসেনা, তাকে একটু আসতে বলো। খুব রাগ হয় যদিও, রাগ হওয়ার কোন কারন নেই তবুও কেন যানি খুব রাগ হয় মেয়েটার। ছেলেটার কথা মতো সে তার ফেরেন্ডকে ফোন দিয়ে ফেসবুকে আসতে বলে। এরপর নিয়মিত চ্যাট হতো ছেলেটার সাথে মেয়েটার। নিয়মিত ছেলেটাই মেয়েটাকে একটি সম্পুন্ন গান লিখতো এভাবেই কথা চলছিলো তাদের মাঝে।

তখন ছিলো শীতকাল ভোর ৪টা এমন সময় মেয়েটা অনলাইনে আছে। চ্যাটে কেউ নাই শুধু সেই ছেলেটি। খুব অবাক হয়ে যায় মেয়েটা, আর ছেলেটাকে বলে এতরাতে ফেসবুকে সে কি করে। ছেলে বলে ব্রোডব্যান্ড তো কম্পিউটার অন করেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তাই আর কি। মেয়েটা ছেলেটাকে ম্যাসেজ করতো কিন্তু উত্তর পেতো না সময় মতো, এতে মেয়েটার খুব খারাপ লাগত। মেয়েটা ছেলেটাকে হয়তো ভালোবেসে ফেলেছিলো মনে মনে কিন্তু বলার সাহস ছিলোনা। তাই সে মজা করে একদিন ছেলেটাকে বলে বলতো “আমার সোনার বাংলা” এর পরের লাইন কি? ছেলেটা বুঝতে পাড়ে কিন্তু সেও মজা করে বলে “আমি তোমায় ভালোবাসি” এটা। এই রকম লুকোচুরি খেলা খেলতে খেলতে ছেলেটা মেয়েটাকে বলে “তুমি কি আমাকে ভালোবাস” মেয়েটা বলে না তোমাকে ভালোবাসলেও তো তুমি বাসবে না তাই না। এরপর ছেলেটা মেয়েটাকে মোবাইল নম্বর দেয় আর ফোন দিতে বলে। মেয়েটা ফোন দেয় তাপর ছেলেটা ফোনে মেয়েটাকে “আই লাভ ইউ” বলে। তারপর তাদের বেশী ভাগ সময় ফোনে কথা হতো। খুব ভাল দিন কাটছিলো তাদের। এর মাঝে ছেলেটা তার অতীত এর কথা মেয়েটাকে বলে। মেয়েটা সব শুনে ছেলেটাকে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু সব কিছু বলার পরে ছেলেটা নিজ থেকেই মেয়েটাকে এড়িয়ে চলতো এই ভেবে যে হয়তো মেয়েটা তাকে মনে মনে খারাপ ভাবছে। কিন্তু ছেলেটার এড়িয়ে চলা মেয়েটা সহ্য করতে পারতো না বরং সবটা শুনে মেয়েটা আরও বেশী ভালোবেসে ছেলেটাকে।

ছেলেটার অতীত হলো তার আগে একটা মেয়ের সাথে রিলেশন ছিলো কিন্তু সে তাকে ছেড়ে চলে যায়। ছেলে আগের চেয়ে কম যোগাযোগ করতো কিন্তু মেয়েটা সময় মতো কথা না হলে খুব কান্না করতো। ছেলেটা মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু স্বীকার করে না এই ভেবে যে যদি আগের গার্ল ফেরেন্ডের মতো চলে যায় ফেলে। এটা ছেলেটা মুখে না বললেও মেয়েটা বুঝতে পারতো কিন্তু ছেলেটাকে বুঝতে দিতো না। মেয়েটাও মনে মনে নিজেকে দোষী ভাবতো এই ভেবে তা হলো মেয়েটা যে ইনফরমেশন গুলি দিয়ে ফেসবুক একাউন্ট ইউজ করছে তা সঠিক না যেটাকে বলা হয় ফেইক একাউন্ট। এটা ছেলেটা জানতো না। মেয়েটা অনেক বার বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু কিছু কিছু কারনে তা অনেক বার বলতে যেয়েও বলতে পারেনি ভালোবাসার মানুষকে হারাবার ভয়ে। ছেলেটা মেয়েটার সাথে মাঝে মাঝে দেখা করতে চাইতো কিন্তু মেয়েটা চাইতো না কারন ধরা পড়ে যাবে এই ভয়ে। একদিন ছেলেটা তার কিছু বন্ধুদের সাথে মেয়েটা যেখানে থাকে সেইখানে ঘুরতে যায়। আর যাওয়ার আগে মেয়েটাকে বলে। তখন মেয়েটা যাকে এতো ভালোবাসে সেই মানুষটাকে একবার দেখার জন্য ঠিক করে নেয় সব সত্যি বলে দিবে আজ সে। ছেলেটা রাতে বাসে উঠলে মেয়েটাকে ফোন দেয় যে সে বাসে এখন। মেয়েটা সারা রাত জেগে থাকে কারন সে খুব ভয় পেতো রাতে জার্নি করাটা। আর ভাবছিলো যে কি করে, কি ভাবে ছেলেটাকে সব কিছু বলবে। পরের দিন ভোর বেলা মেয়েটা ছেলেটাকে সব কিছু বলে দেয়।

এরপর ছেলেটি কথা শুনে তেমন কিছু বলে না। মেয়েটা ভাবে হয়তো ছেলেটা কিছুই মনে করেনি। কারন কথাগুলো শোনার পরেও ছেলেটা আগের মতোই যোগাযোগ করে। কিন্তু দু-এক দিন পর ছেলেটা আর মেয়েটার ফোন ধরে না। ধরলেও ঠিক মতো কথা বলতো না। পরে একদিন বলে যে সে যেন তাকে ফোন না দেয় কারন মিথ্যা দিয়ে সম্পর্ক হয় না। 

কিন্তু মেয়েটা তো শুধু তার নাম ঠিকানা মিথ্যা বলেছে এটাই কি সব থেকে বড় ভুল? মেয়েটার ভালোবাসা কি তা হলে কিছুই না? 

*************************************************

(এই গল্পটি ভালোবাসার গল্প কবিতা ব্লক ও ফেসবুক পেজ পাঠকের নিজের জীবনের ঘটনা    অবলম্বনে সত্যি গল্প, যা পাঠক নিজে ইনবক্সে পাঠিয়েছেন) 


লেখিকাঃ নীল পরী নিলাঞ্জনা (ফেসবুক আইডির নাম অনুসারে)


ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :  
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের  সাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Friday, July 3, 2015

এখনো দেরী হয়ে যায় নি, এখনো অনেক সময় আছে

এখনো দেরী হয়ে যায় নি, এখনো অনেক সময় আছে

এক রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর আমার স্ত্রি প্রতিদিনের মত আমাকে নিয়ে রাতের খাবার খেতে বসলো। তখন আমি তার হাতটি জড়িয়ে ধরলাম এবং বললাম, "আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই।" সে আমার চোখের দিকে শান্ত ভাবে তাকালো...
আমি বুঝতে পারছিলাম না যে তাকে আমি কথাগুলো কিভাবে বলবো।

কিন্তু তাকে আমার জানানো উচিৎ যে, আমি তার সাথে আর সংসার করতে চাই না। আমি খুব ধীরে, শান্তভাবে বিষয়টি তুললাম। সে আমার কথায় কোনরকম বিরক্ত প্রকাশ না করে ধীরে ধীরে জিজ্ঞেস করল, "কেন?" আমি তার প্রশ্ন এড়িয়ে গেলাম। এতে সে রেগে গেলো। টেবিলের উপর থেকে সবকিছু ছুড়ে ফেলে দিয়ে চিৎকার করে বললো, "তুমি একটা কাপুরুষ।" সেই রাতে আমাদের আর কথা হল না। সে সারা রাত নিঃশব্দে কাঁদলো। হয়তো ও বুঝার চেষ্টা করছিল কেন আমি এমনটা চাইলাম। কিন্তু আমি তাকে বলতে পারিনি যে, আমি আর একটা মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমি নিজেকে খুব অপরাধী মনে করেছিলাম, আর ঐ অপরাধবোধ নিয়েই আমি ডিভোর্স লেটার লিখলাম, যেখানে উল্লেখ ছিল, আমাদের বাড়ি, আমাদের গাড়ি, এবং আমার ব্যবসায়ের ৩০% এর মালিক সে হবে। তার হাতে কাগজটি যাওয়ার সাথে সাথে ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করে ফেললো। যে মানুষটার সাথে আমি ১০ টা বছর সংসার করলাম, আজকে আমি তাকেই আর চিনি না। তার এতগুল সময়, সম্পদ, এবং শক্তি নষ্ট করার জন্য আমার খুব খারাপ লাগছিলো, কিন্তু এখন আমি আর তাকে ফেরত নিতে পারবো না কারণ, আমি ফারহানা কে ভালোবাসি। অবশেষে সে আমার সামনে চিৎকার করে কান্না করে দিল, যা আমি আশা করছিলাম। আমার কাছে তার কান্না একরকম মুত্তির চিহ্নের মত লাগছিল। তখন মনে হচ্ছিল, এবার আমি আসলেও সফল। 

পরের দিন, আমি অনেক দেরী করে বাসায় ফিরি। দরজায় ঢুকতেই দেখি, ও ডাইনিং রুমে টেবিলে কিছু লিখছিল। আমি আর খাবার খেতে গেলাম না এবং সরাসরি ঘুমাতে চলে গেলাম, কারণ সারাদিন ফারহানাকে নিয়ে অনেক ঘুরেছি এবং এখন আমি ক্লান্ত। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। যখন আমার ঘুম ভাঙ্গলো, তখনো ও লিখছিল।

আমি গ্রাহ্য করলাম না এবং আবার ঘুমিয়ে পরলাম। সকালে সে আমাকে কিছু শর্ত দিল, যেখানে লেখা ছিল, "আমি তোমার থেকে কিছুই চাইনা, কিন্তু আলাদা হয়ে যাওয়ার আগে শুধু এক মাস সময় চাই। এই একমাসে আমরা জতটুকু সম্ভব স্বাভাবিক জীবন জাপন করবো, কারণ আর একমাস বাদেই আমাদের ছেলেটার পরীক্ষা। ওর যাতে কোন ক্ষতি না হয় তাই আমি এমনটা চাইছি।" আমি মেনে নিলাম। কিন্তু সে আমার কাছে আরও কিছু চেয়েছিল... ও আমাকে মনে করতে বললো, বিয়ের দিন আমি তাকে যেভাবে কোলে করে নিয়ে ঘরে ঢুকে ছিলাম। ও আমাকে অনুরোধ করলো, যাতে এই একমাস আমি তাকে প্রতি সকালে কোলে করে আমাদের শোবার ঘর থেকে বাইরের দরজা পর্যন্ত নিয়ে যাই।

আমি ভাবলাম, ও পাগল হয়ে গেছে। যাই হোক, এই শেষ সময়ে যাতে আর ঝামেলা না হয়, তাই আমি তার অনুরোধ মেনে নিলাম। আমি ফারহানাকে আমার স্ত্রির দেয়া শর্তগুলোর কথা বলেছিলাম। শুনার পর সে অট্ট হাসিতে ফেটে পড়লো, যা খুবই অযৌক্তিক লাগলো আমার কাছে। তখন ফারহানা আমার স্ত্রির উপর ঘৃণা এবং রাগ নিয়ে বললো, "সে যতই ছলনা করুক আর মায়া কান্না দেখাক, তাকে ডিভোর্স নিতেই হবে।" আমাদের বিবাহবিচ্ছেদের উদ্দেশ্য স্পস্টভাবে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে আমার স্ত্রি এবং আমার মধ্যে আর কোন শরীরী যোগাযোগ ছিল না। যাই হোক, যেদিন আমি প্রথম তাকে কোলে তুললাম, তখন আমরা দুজনেই খুব বিব্রতবোধ করছিলাম। আমাদের ছেলেটা পেছন থেকে তালি বাজাচ্ছিল আর বলছিল, "আব্বু আম্মুকে কোলে তুলেছে, কি মজা কি মজা।" ছেলেটার কথা শুনে কেন জেন আমার খারাপ লাগতে শুরু করলো। শোবার ঘর থেকে ড্রইংরুম, ড্রইংরুম থেকে বাইরের দরজা পর্যন্ত আমি ওকে কোলে করে নিয় গেলাম। সে তার চোখ বন্ধ করলো এবং ফিস ফিস করে বললো, "আমাদের ছেলেটাকে আমাদের ডিভোর্সের কথাটা কখনও জানতে দিওনা।" আমি ওকে দরজার বাইরে নামিয়ে দিলাম। সে তার কাজে চলে গেল, আর আমি অফিসে চলে গেলাম। দ্বিতীয় দিন, আমরা দুজনেই খুব স্বাভাবিক আচরন করলাম। সে আমার বুকে মাথা রাখলো। আমি তার চুলের গন্ধ পাচ্ছিলাম। আমার মনে হল, আমি কতদিন এই মানুষটাকে একটু ভালোভাবে দেখিনি, বুঝার চেষ্টা করিনি। দেখলাম, ওর কত বয়স হয়ে গেছে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে গেছে... চুলে কাঁচাপাকা রঙ ধরেছে। কিছু মুহূর্তের জন্য মনে হল আমি তার সাথে কি করেছি। চতুর্থ দিন, যখন আমি তাকে কোলে তুললাম, তখন বুঝতে পারলাম আবার আমাদের অন্তরঙ্গতা ফিরে আসছে। এটাই সেই মানুষ, যে তার জীবনের ১০ টা বছর আমার সাথে পার করেছে। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দিন আমার আবারো মনে হল যে, আমাদের সম্পর্কটা আবার বেড়ে উঠছে। আমি এসব বিষয়ে ফারহানাকে কিছুই বলিনি। যতই দিন যাচ্ছিল, ততই খুব সহজে আমি আমার স্ত্রিকে কোলে তুলতে পারতাম। সম্ভবত, প্রতিদিন কোলে নিতে নিতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল।

আমার স্ত্রির ক্যান্সার ছিল, অথচ আমি ফারহানাকে নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে, এদিকে কোন খেয়ালই করিনি। সে জানতো যে সে মারা যাচ্ছে... কিন্তু সে আমাকে বুঝতে দেয়নি, কারণ আমাদের ছেলের পরীক্ষা ছিল এবং আমাদের ডিভোর্স হয়েছে এটা জানলে আমাদের ছেলেটার মন- মানষিকতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সে মারা গেলে আমাদের আর আলাদা হয়ে বেঁচে থাকতে হবে না। সে আমার ছেলের কাছে প্রমান করে দিয়ে গেল, আমি খুব ভালো স্বামী ছিলাম, যে তার স্ত্রির অনেক খেয়াল করতো। সম্পর্কের এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলো আসলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই বড় রাজপ্রাসাদ, গাড়ি, সম্পত্তি, টাকা এগুলো সব কিছুই ভালো থাকার পরিবেশ তৈরি করে কিন্তু নিজেরা কোন সুখ দিতে পারে না। তাই কিছু সময় বের করুন আপনার স্বামী বা স্ত্রির জন্য। তার বন্ধু হন। এবং কিছু কিছু ছোট ছোট মুহূর্ত তৈরি করুন যা আপনাদের সম্পর্ককে আরও কাছের করবে।

একদিন সকালে বাইরে যাওয়ার জন্য সে পছন্দের কাপড় খুঁজছিল। প্রায় অনেকগুলো কাপড় সে পরে দেখল, কিন্তু একটাও তার ভালো লাগছিলো না। সে স্থির হয়ে বসলো এবং দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বললও, "আমার সব গুলো কাপড় ঢিলে হয়ে গেছে...।" তখন আমি বুঝতে পারলাম সে অনেক শুকিয়ে গেছে এবং এ জন্যই আমি তাকে খুব সহজে কোলে তুলতে পারতাম। হঠাৎ এটা আমাকে খুব আঘাত করলো... সে তার মনে অনেক কষ্ট চাপা দিয়ে রেখেছে। মনের অজান্তেই আমি ওর কাছে যাই এবং ওর মাথায় হাত দেই। ঐ মুহূর্তে আমাদের ছেলেটাও চলে এল এবং বললও, "আব্বু, আম্মুকে কোলে তুলার সময় হয়েছে।" আমার স্ত্রি ছেলেটাকে ইশারায় কাছে আসতে বলল এবং তাকে কিছুক্ষণের জন্য খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। আমি অন্য দিকে তাকালাম, কারণ আমার ভয় হচ্ছিল, এই শেষ মুহূর্তে জেন আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আমি তাকে কোলে নিলাম। শোবার ঘর থেকে ড্রইং রুম, ড্রইং রুম থেকে বাইরের দরজা পর্যন্ত তাকে নিয়ে গেলাম। সে তার হাত দিয়ে আলতো ভাবে আমার গলা জড়িয়ে ছিল। আমিও তাকে খুব হাল্কাভাবে কোলে নিয়ে ছিলাম... ঠিক জেন বিয়ের প্রথম দিনের মত। কিন্তু তার এই এত হাল্কা ওজন আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছিল... প্রায় অনেক আগে যেদিন আমি তাকে কোলে নিয়েছিলাম, সেদিন তাকে নিয়ে কিছু দূর হাটতেই আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিলো। আমাদের ছেলেটা স্কুলে চলে গেছে। আমি আমার স্ত্রিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললাম, আমি বুঝতে পারিনি যে, আমাদের মধ্যে এতটা অন্তরঙ্গের অভাব ছিল। এ কথা বলেই আমি অফিসে চলে গেলাম। অফিস থেকে ছুটি নিয়েই বেরিয়ে গেলাম। চলে গেলাম সোজা ফারহানার বাসায়। সিঁড়ি বেয়ে দ্রুত উপরে উঠে গেলাম। আমি খুব তাড়াহুড়ো করছিলাম, ভয় পাচ্ছিলাম যাতে আমার মন আবার পরিবর্তন হয়ে যায়। ফারহানা দরজা খুলতেই আমি তাকে বললাম, "ফারহানা, আমাকে মাফ করে দিও... আমি আমার স্ত্রির সাথে ডিভোর্স চাইনা।" ফারহানা আমার দিকে খুব অবাক হয়ে তাকাল এবং আমার কপালে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, "আচ্ছা তুমি ঠিক আছো তো?? তোমার কি জ্বর আসছে??" আমি ওর হাত আমার কপাল থেকে সরালাম এবং আবারো বললাম, "ফারহানা, আমি ওকে ডিভোর্স দিতে চাই না। তুমি পারলে আমাকে মাফ করে দিও। আমাদের বৈবাহিক সম্পর্কটা হয়তো বিরক্তিকর ছিল, কারণ আমরা আমাদের জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্ত গুলোকে মুল্য দেইনি, কিন্তু এর মানে এই না যে আমরা কখনো একে অপরকে ভালোবাসিনি। কিন্তু এখন আমি বুঝি যে, যেদিন আমি তাকে বিয়ে করেছিলাম, সেদিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যে মৃত্যু পযর্ন্ত আমি তার সাথে থাকবো।" তখন ফারহানা আমাকে খুব জোরে একটা চড় মারলো এবং আমার মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দিয়ে ভেতরে চিৎকার করে কান্নায় ভেঙে পড়লো। আমি বাসার নিচে নেমে এলাম এবং চলে আসলাম। পথেই একটা ফুলের দোকান পেলাম এবং একটা ফুলের তোড়া কিনলাম আমার স্ত্রির জন্য। আমাকে দোকানদার জিজ্ঞেস করলো, "স্যার কার্ডের উপর কি লিখবো?" আমি একটু মৃদু হাসলাম এবং লিখতে বললাম, "আমি প্রতিদিন সকালে তোমাকে কোলে নিব... আমার মৃত্যু পর্যন্ত" ঐ দিন সন্ধ্যায় আমি বাসায় ফিরি, আমার হাতে ফুলের তোড়া, আমার চেহারায় সুখের হাসি, আমি সোজা আমার শোবার ঘরে চলে যাই এবং দেখি আমার স্ত্রি আর নেই। সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে... সারা জীবনের জন্য চলে গেছে... যেখান থেকে আর কখনো ফেরা সম্ভব না।

কারণ, এটাই সত্য "পরিবার পৃথিবীতে সব চাইতে দামি।" আপনি যদি এখন কোন সম্পর্কতে নাও থাকেন, তারপরেও দ্বিতীয় বারের মত অথবা তার চাইতেও বেশী চিন্তা করুন, কারণ এখনো দেরী হয়ে যায় নি... এখনো অনেক সময় আছে।





বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ (গল্পটি সংগৃহীত) 

আপনি যদি এই পোস্টটি না শেয়ার করেন, তাতে কোনই সমস্যা নেই। কিন্তু যদি শেয়ার করেন, তাহলে হয়তো আপনি একটি সম্পর্ক আবার জোড়া লাগাতে পারেন। জীবনে অনেক মানুষই বুঝতে পারে না যে, তারা সফলতার কত কাছাকাছি আছে।




ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন : 
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Monday, June 29, 2015

একটি বাসর রাত



একটি বাসর রাত

আজ নিলয় ও মিম এর বাসর রাতপারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ে হয়েছেমিম শিক্ষিত মেয়ে এবং নিলয় পড়ালেখা শেষ করে নিজেদের পারিবারিক ব্যবসা দেখাশুনা করে

রাত ১২:৩০ নিলয় বাসর ঘরে আসলো সবাই কে বিদায় জানিয়ে মিম খাট থেকে নেমে নিলয় এর পা ছুয়ে সালাম করলোনিলয় মিম কে উঠিয়ে খাটের উপর বসালনিলয় মিম কে বলল "আজ আমাদের বাসর রাতসবার মতই আমাদের জীবনেও বহু প্রতিক্ষিত রাত এই রাত আজ এই শুভক্ষনে আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই আশা করি মনযোগী হয়ে শুনবে কাল কেও তুমি শুধু একটা মেয়ে ছিলাআজকে তুমি কারো স্ত্রী, কারো সংসারের বউকারো ভাবি, কারো জা,কারো চাঁচি, কারো মামীআজ থেকে তোমার অনেক দাযিত্য বেড়ে গেছেযেহেতু আমরা পরিবারের কথা মত বিয়ে করেছি তাই হয়তো একে অপরকে জানার সময় কম পেয়েছি তবুও কিছু কথা আজ থেকে তুমি আমার স্ত্রী এবং আমি তোমার স্বামীযেহেতু আমাকে তোমার বর হিসেবে মেনে নিয়েছ তাই মনে করছি আমাকে তোমার যোগ্য মনে করেছআর আমাকে যদি তোমার যোগ্য করে কেউ গড়ে তোলে তারা হল আমার আব্বু আম্মুআশা করি তুমি তাদের কে সম্মান দিয়ে চলবেতাদের কে নিজের আব্বু আম্মু মনে করবে তারা আমাকে তোমার যোগ্য করেছে তার মানে তারা আমার থেকে অনেক বেশি যোগ্য তাই তারা বয়সের কারনে হয়তো রাগারাগি করতে পারেতখন তুমি তাদের সামনে মাথা নত রেখে নরম স্বরে কথা বলবা

কারন " কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবেগর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুলএর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার ন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।"

যদি তুমি তাদের রাগের সময় ভাল ব্যবহার কর তাহলে তারা আর কখনই তোমার সাথে রাগবে নাযদি তুমি আব্বু আম্মুকে মন থেকে ভালবাসো তাহলে তারা তোমাকে অনেক আশিবাদ করবে যা অমুল্য তোমাকে রান্না করতে হবেআম্মু যখন রান্না করছে তখন তুমি আম্মু কে গিয়ে বল যে আম্মু আমি রান্না পারি না আমাকে শিখাবেন?? আম্মু খুশি হবেতোমাকে রান্না করতে হবে না তখন তবু খুশি থাকবে বিকেলবেলা একটু চা বানিয়ে তাদের কে দিয়ে আসলে তারা অনেক খুশি হবে তোমার উপর
শুনেছি সব ভাবিরা নাকি ননদ জা দের কে দেখতে পারে না তুমি এই ধারনা পাল্টে দিবাআমার বোন রা ৬মাস পর হয়তো আসবে থাকবে ৬দিনএই ৬দিন তাদের কে নিজের বোন মনে করে আদর কর যেন পরের বার তোমার টানেই আসে আবার তুমি হয়তো জানো না যে একবার আমার অসুস্থ হইছিলাম এবং আমার আব্বু আম্মু ছিল নাআমার ২বোন সারারাত আমার মাথার পাশে না ঘুমিয়ে সেবা করেছিল এখন ভাবো তুমি তাদের কে কেমন ভালবাসবে? আমার বড় ভাই আছে যে আমার চাওয়ার আগেই আমার অভাব পুরন করছে আশা করি তুমি তাকে নিজের ভাইয়ের মত দেখবেযদি ভাইয়ার কাছে কিছু আবদার কর তাহলে তিনি তোমার উপর খুশি হবেআর ভাবি তো তোমাকে বোন বানিয়েই ফেলেছে আমাদের বাড়িতে অনেক বাচ্চাকাচ্চা আছেতাদের কে আদর করবে সারাদিন তাদের সাথে সময় কাটাবে একঘেয়েমি দুর হবে

অতঃপর, ভালবাসা দিয়ে সব জয় করা যায় হিংসা দিয়ে নয়ভালবাসা দানে বাড়ে কমে নাযতযত ভালবাসা দিবে সবাই তেমন ভালবাসা তোমাকে দিবেসবাইকে ভালবাসবেআর তুমি যদি এতকিছু কর তাহলে আমি নিশ্চয় তোমাকে খারাপ রাখতে চাইব না? আর একটা মেয়ের কাছে স্বামীর সুখের চেয়ে বড় কিছু নেই এমন কিছু করবে যেন এইঘর টাকে স্বর্গ মনে হয়প্রতিদিন পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বাতুমি অনেক রুপসী কিন্তু সেটা সবার জন্য নয়তাই বাইরে সংযত হয়ে চলাফেরা করবে

তোমার কিছু বলার থাকলে বলমিম মাথা উঠেই নিলয় এর দিকে তাকালে নিলয় দেখে মিম কাঁদছেনিলয় বলল কাঁদছ কেন? মিম বলল জীবনে কাউকে বলিনি আজ বলছি আমি তোমাকে ভালবাসি, আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ উপহার তোমার মত কাউকে জীবনে সঙী করে পাওয়া নিলয় বলল আমিও ভালবাসি তোমাকে কথা বলতে বলতে আযান দিয়ে দিল যাও তুমি নামাজ পরে ঘুমাতে যাও আমি মসজিদ গিয়ে নামাজ পরে আসতেছি

পরের দিন থেকে শুরু হল এক শান্তির সংসারআমার আব্বু আম্মু যেন বউ পায়নি পেয়েছে একটা মেয়েআমাকে বাদ দিয়ে সারাদিন বউকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে বাড়ির সবাইআমিও কিছু বলিনাদিন গেলে রাত টাতো আমার

লেখক : নিলয় আহসান নিশো (বৃষ্টিহীন বর্ষাকাল)



[লেখাটি সংগৃহীত যদি কারো জীবনের সাথে মিলে যায় তবে লেখাটির জন্য আমরা দ্বায়ী নই, এটি নিছক একটি গল্প মাত্র]


ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :  
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Tuesday, June 16, 2015

প্রথম দিনের মতো

প্রথম দিনের মতো

 
ছেলেটির সাথে প্রথম দেখা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের ভিড়ে মেয়েটি সিটে বসে, ছেলেটি কোন রকমে তার পাশে দাড়িয়ে হঠাৎ ব্রেক, টাল সামলাতে না পেরে ছেলেটি মেয়েটির উপর ছিটকে পড়লো মেয়েটি মহাবিরক্ত ভাবলো তার উপর এই ভাবে পড়াটা ছেলেটার ইচ্ছাকৃত ভান

ছেলেটার সাথে মেয়েটির দ্বিতীয় অশুভ দেখা এক শুভবিবাহ অনুষ্ঠানে, মানুষের ভিড়ে অসাবধান বশত সে মেয়েটির পা মাড়িয়ে দিলো মেয়েটি এবার ছেলেটির  উপর ভীষন খুব্ধ ভাবলো এটা ছেলেটির ইচ্ছাকৃত হয়রানী বা সয়তানীসেও মনে মনে ফন্দি করে ছেলেটির পোশাকে মাংসের সরুয়া ঢেলে দিল অতঃপর মহা হৈ চৈ দেখে মেয়েটি দুঃক্ষীত বলে অন্য পাশে সরে পরল বিষন্য ছেলেটা অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে গেল  

মেয়েটি সিদ্ধান্ত নিলো এরপর সে তার বন্ধুদের দিয়ে ছেলেটাকে পেটাবে তিন দিন পর আবার তাদের দেখা বৌভাত অনুষ্ঠানে রুপবতী প্রস্তুত যে কোন ছুতো ছেলেটিকে পেটাবার জন্য কিন্তু ছেলেটি ওর থেকে অতি দুরে সরে রইল একবারও ওর দিকে ছেলেটি চোখ তুলে তাকালো না মেয়েটি যেন আরো অপমানিত হল ভাবলো সে এই নিরব অপমানের শোধ নেবে

এরপর বেশ কিছু দিন হয়ে গেল ছেলেটির দেখা নেই না বিশ্ববিদ্যালয়, না বাসে, মেয়েটির চোখ সারাক্ষন খুজে বেড়া তাকে একদিন মেয়েটি জানতে পারল আত্বভোলা সেই ছেলেটি দুর্ঘটনা গুরুতর আহত উদ্ধিগ্ন মেয়েটি যখন তাকে হাসপাতালে দেখতে গেল সে তখন মৃত্যু বরন করেছে মেয়েটির কচি মন হাহাকার করে কেঁদে উঠল সেই থেকে মেয়েটি আজো অবিবাহিতা, যার বয়স কিনা আজ ত্রিশ বছর এবং সে ছেলেটির কবরে আজও ফুল দেয় আর নিঃশব্দে প্রাথনায় বলে ওঠে এসো বন্ধু তুমি আমার পা মাড়িয়ে দাও আমার শুন্যবুকে ছিটকে পড়, সেই প্রথম দিনের মতো

[লেখাটি সংগৃহীত যদি কারো জীবনের সাথে মিলে যায় তবে লেখাটির জন্য আমরা দ্বায়ী নই, এটি নিছক একটি গল্প মাত্র]


ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :  
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Friday, June 12, 2015

মেয়ে তোমার দায়িত্ব নাও



মেয়ে তোমার দায়িত্ব নাও

মেয়ে তোমার দায়িত্ব তুমি নাও এই স্বার্থপর জঘন্য সমাজে তোমার জন্ম ! তোমার জন্য তোমার বাবা অসহায় ,তোমার ভাই অসহায় ,তোমার স্বামী অসহায় আর তুমি ?নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করো ?কেন তুমি তোমার পরিবার ,সমাজে আর রাষ্ট্রে অসহায় এক প্রতীক ? আরও সাহসী আরও বিচক্ষণ আরও অনেক অনেক চিন্তা কে জাগ্রত কর গোপন বলে আর কিছু রইলো না লজ্জা বলে আর কিছু রইলো না কেউ কি একবার ভেবে দেখেছে ওই ছেলেটার কথা যার সামনে রিকশা থেকে নামিয়ে মেয়ে টাকে নির্যাতন করা হয়েছে
 
আমার বাবা,ভাই, স্বামী আর আমাদের সমাজ,দেশ রাষ্ট্র ও কতো অসহায় কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষের কাছে আমি টি এস সি এর ভিডিও ফুটেজ গুলো দেখছি আর চোখের পানি সামলে রাখতে পারছি না বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়ে কোন না কোন ভাবে হয়রানি হয় ছেলেরাও হয় তবে প্রসঙ্গটা থাকে অন্য রকম একটা মিশ্র সমাজে জন্ম নিলে কি আতঙ্কের আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বড় হতে হয় তা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করে বড় হয়েছি কেন বাবা শাসন করবে না ? কেন ভাই শাসন করবে না ? কেন স্বামী শাসন করবে না ? কেউ কি চায় তার ভালবাসা আর লজ্জা নিয়ে এই ভাবে শিয়াল কুকুর উল্লাস করে শুধু কি পহেলা বৈশাখ ? যে কোন অনুষ্ঠান রাস্তা ঘাট ,অফিস আদালত সব যায়গায় একটা করে হলেও বিকৃত মানুষ আছে

মেয়ে তোমার জন্ম এক ছোটলোক অশিক্ষিত সমাজে তুমি নিঃশ্বাস নাও বিসাক্ত বাতাস থেকে তুমি স্বপ্ন দেখো মিথ্যা অন্ধকার পৃথিবীর তুমি যখন ঘরে নিজেকে লুকিয়ে রাখবে তখন তুমি পৃথিবী দেখবে না এক জীবন পার হয়ে যাওয়ার পর দেখবে তুমি নিজের ছিলে না এ পৃথিবী তোমাকে অবহেলা করবে তুমি না পারবে নিজেকে সাহায্য করতে না পারবে তোমার চারপাশের পৃথিবীকে মেয়ে তুমি যখন কিছু পাল্টাতে চাইবে যখন নিজের কিংবা সমাজের কিছু ভুল ধারণা তখন সবাই তোমাকে অনেক রকম কুৎসিত শব্দ সহ্য করতে হবে পুরুষ কে দোষ দিও না জানো তো কতো পুরুষ কতো রকমের নীরব যন্ত্রণা ভোগ করছে?

একবার ভেবে দেখ তো ওই পুরুষটার কথা যার সামনে মা,বোন ,ভাবি , বউ ,হতে পারে বান্ধবি বা প্রেমিকা নির্যাতিত হয় কেউ কি ভাবে ওই পুরুষটার কথা একান্ত দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকার কথা এখন নারী কিংবা পুরুষ কে আলাদা করো না তুমি যখন ভাল কিছু করতে যাবে কখনও কখনও তোমার মতো কোন মেয়ে নামক অবুঝ হীনমন তোমার নামে ছড়িয়ে দিবে অনেক রকম কিছু যা কল্পনা ছাড়া যখন তুমি এগিয়ে যাবে তখন কেউ কেউ তোমাকে মেনে নিতে চাইবে না আজ যে নীরবে অশ্রু ঝরাচ্ছো কেউ এর মূল্য বুঝবে না তুমি ও কেমন করে নীরবে ভয়ংকর শাস্তি দিতে হয় তোমার মগজকে আরও যোগ্য করো নিজেকে ছড়িয়ে দাও সারা পৃথিবী

এই সমাজ এ অনেক বেশি নোংরা জীবন চর্চা চলছে নারী কিংবা পুরুষ নির্যাতন নয় এই সমাজ কিছু ভণ্ড বিকৃত মগজের দখলে আমাদের জীবন চর্চা আর জীবন বোধ সুন্দর না শুভ না চাই কঠিন শাস্তি চাই কঠিন আইন এই অপরাধ প্রবণ মানুষগুলোকে শায়েস্তা করতে হলে যদি মানুষের ভিতর মানুষ থাকে তারা অবশ্যই এগিয়ে আসবে যতদিন না আমি ,তুমি আমরা এক হবো ততদিন ওরা এই সমাজ এই দেশ নর্দমায় পরিণত করবে  


[আমি দুঃখিত যদি কারো জীবনের সাথে মিলে যায় এটা আমার লেখা নিছক গল্প মাত্র]

লেখিকা : নুরুন নাহার লিলিয়ান